ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশটির আকাশসীমা নিয়ন্ত্রণ নেওয়া রাশিয়ার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলেও মস্কো তা করতে ব্যর্থ হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, ইউক্রেনের আকাশসীমা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে রাশিয়া।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ গোয়েন্দা হালনাগাদ তথ্যের বরাতে রোববার (২০ মার্চ) সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, রাশিয়া ইউক্রেনের আকাশসীমার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্য অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং তারা মূলত এখন স্ট্যান্ড-অফ বা ক্ষেপণাস্ত্রসহ অন্য দূরপাল্লার অস্ত্রের ওপর নির্ভর করছে।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, ইউক্রেনে হামলা শুরুর প্রথম থেকেই রাশিয়ার প্রধান উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে একটি কিয়েভের আকাশসীমার নিয়ন্ত্রণ অর্জন করা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে মস্কোর ক্রমাগত ব্যর্থতা তাদের সামরিক অভিযানের অগ্রগতিকে উল্লেখযোগ্যভাবে স্থবির করে দিয়েছে।
ইউক্রেনের সঙ্গে সৃষ্ট উত্তেজনার মধ্যে গত বছরের নভেম্বর মাসে দেশটির সীমান্তে সামরিক সমাবেশ করে রাশিয়া। লক্ষাধিক সেনা, বিশাল ট্যাংক ও আর্টিলারি বহরের পাশাপাশি যুদ্ধবিমান ও সামরিক হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়।
রাশিয়ার এই সামরিক প্রস্তুতি দেখে মনে হচ্ছিল, একদিকে স্থলপথে দ্রুত অভিযান চালাবে রুশ স্থলবাহিনী। অন্যদিকে যুদ্ধবিমানের বিশাল বহর নিয়ে দ্রুত বেগে ইউক্রেনের আকাশপথের নিয়ন্ত্রণ নেবে রুশ বিমানবাহিনী। সেই লক্ষ্যেই শুরু হয় সামরিক অভিযান। কিন্তু ইউক্রেনের ১৩২টি যুদ্ধবিমান ও মাত্র ৫৫টি সামরিক হেলিকপ্টারের বিপরীতে ১ হাজার ৩৯১টি যুদ্ধবিমান ও ৯৪৮টি হেলিকপ্টার নিয়েও ইউক্রেনের আকাশপথ নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেনি রাশিয়া।
সংখ্যা ও সক্ষমতার দিক থেকে রাশিয়ার বিমান বাহিনীর তুলনায় নগণ্য হওয়ার পরও ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিমানগুলোই এখনো আকাশ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এমনকি তাদের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাও সক্রিয় রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করছেন। বিষয়টিকে রাশিয়ার বড় ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন পশ্চিমা বিশেষজ্ঞরা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।